চলমান লকডাউনের মধ্যেও কক্সবাজার শহরের কলাতলীর আবাসিক হোটেল থেকে তরুনীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে কলাতলিস্থ সিপার্ল-২ হোটেলের ৫ম তলার একটি কক্ষে এ উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
হোটেলের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, কেয়ারটেকারের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ওই কক্ষে উঠেন এক তরুণ ও তরুণী। আজ দুপুর পর্যন্ত সাড়া-শব্দ না পেয়ে দায়িত্ব থাকা ওই কেয়ারটেকার বিকল্প চাবি নিয়ে ওই কক্ষটি খুলে ফ্যানের সাথে তরুণীর মরদেহ ঝুলতে দেখতে পায় বলে দাবি করে। তবে তখন সাথে ওঠা ছেলেটি ছিলো না।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তরুনীর নাম ছেনোয়ারা। তার বাড়ি টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নে। মেয়েটির সাথে থাকা ছেলেটির বাড়ি সদরের চৌফলদন্ডী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। হোটেলের দায়িত্ব থাকা কেয়ারটেকারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফজতে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে মামলার আলামত সংগ্রহ করে পুলিশের পৃথক দুটি দল সিআইডি ও পিবিআই। পুলিশের সন্দেহ, বৃহস্পতিবার রাতের কোনো একসময় ধর্ষণের পর তরুণীকে কক্ষের ভেতর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। এরপর গলায় চাদর পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র ধর বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য তরুণীর মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলেই বলা যাবে, এটা আত্মহত্যা নাকি ধর্ষণের পর হত্যা।
লকডাউন এবং করোনা সংক্রমণরোধে ১ এপ্রিল থেকে সমুদ্রসৈকতে পর্যটকের সমাগম নিষিদ্ধ করে জেলা প্রশাসন। পর্যটক না থাকায় পরের দিন থেকে সৈকত এলাকার পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস ও কটেজ বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যেই লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অনাকাংখিত বলে দাবী সচেতন মহলের।
মন্তব্য করুন